সেপটিপিন দিয়ে হাতে খোদাই করে লিখে দেওয়া হয়েছে একাধিক নাম : হোমে শিউরে ওঠা ঘটনা

6th January 2021 6:39 pm হুগলী
সেপটিপিন দিয়ে হাতে খোদাই করে লিখে দেওয়া হয়েছে একাধিক নাম : হোমে শিউরে ওঠা ঘটনা


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  লিলুয়া হোম থেকে অসুস্থ হয়ে ঘরে ফিরল নাবালিকা। হাতের বিভিন্ন জায়গায় সেফটিপিন দিয়ে খোদাই করে দেওয়া হয়েছে  তাকে দেখাশোনা করতো সেই দিদিদের নাম।  চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে চুচুড়া থানার অন্তর্গত সিংহের বাগান এলাকায়। আজ থেকে কুড়ি দিন আগে বাবা মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে নাবালিকা কন্যা বেরিয়ে  গিয়েছিল বাড়ি থেকে। বহু খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে চুঁচুড়া থানা দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। দু'দিন পর থানা থেকে খবর দেওয়া হয় তাদের কন্যাকে হাওড়া প্ল্যাটফর্মের ঘুরতে দেখে ওখানকার জিআরপি হাওড়া চাইল্ড লাইন মারফত লিলুয়া হোমে পাঠিয়ে দিয়েছে। এরপরই পরিবারের লোক যোগাযোগ করে হোমের সাথে । তারপর আইনি জটিলতা কাটিয়ে ফিরে পায় তাদের মেয়েকে। কিন্তু মেয়েকে নিয়ে আসতে গিয়ে দেখে মেয়ে শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ এবং তার থেকেও বড় বিষয় তার হাতে সেফটিপিন দিয়ে খোদাই করে দিয়েছে হোমের  দিদিদের নাম। হোমে থাকা মেয়ের অভিযোগ হোমে থাকাকালীন এই দিদিরা তার ওপর নির্যাতন চালাত এবং তারপর একদিন সেফটিপিন দিয়ে তাদের তিন জনের নামের আদ্যক্ষর খোদাই করে দিয়েছে। কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন  সারাজীবন তাদের মনে রাখে। এই অবস্থা দেখার পর অবাক হয়ে যায় নাবালিকার পরিবার। হোমে যে এইরকম নির্যাতন চালানো হয় তা তারা জানতেন না বলেও অভিযোগ । এরপরই তারা সদর মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানান। যদিও সদর মহকুমা শাসক জানিয়েছেন তাদের জুরিসডিকশনের ভেতর ওই হোম নয়। তবে তারা হাওড়ার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। যাতে বিষয়টি খতিয়ে দেখে হোমের যারা এই অত্যাচার করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি হয়। পরিবারের লোকের অভিযোগ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান হয়ে সেখানকার সরকারি কর্তারা থাকার পরও কিভাবে এইরকম নির্যাতন চালানো হল। সুরক্ষার কথা ভেবে যেখানে হোমে রাখা হলো সেখানেই এই নির্যাতন যা ভেবে শিউরে উঠছে নির্যাতিতা ও তার পরিবার।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।